জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকলেই যেকোনো বাংলাদেশী নাগরিক ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এনআইডি (NID Card/ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়তপত্র) কার্ড আছে তারা এনআইডি ব্যবহার করে আর যাদের এনআইডি নেই তারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েই অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পাসপোর্টের আবেদনের সাথে কী কী কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে অনলাইনে আবেদন নির্ভুলভাবে করা সত্ত্বেও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। ই-পাসপোর্টের আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকলে আবেদন গ্রহণ করে না।
ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে কী কী লাগে?
০১. জাতীয় পরিচয়পত্র
- বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে ই পাসপোর্ট করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। যদি আপনার বয়স ১৮ হয়ে থাকে এবং এখনও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু না করে থাকেন তবে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর জন্য আবেদন করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পরে পাসপোর্টের আবেদনের কথা ভাবতে পারেন।
- তবে শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সীরা জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন।
০২. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
০৩. নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- আপনার নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করে তা সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
০৪. বিবাহিত হলে কাবিনা নামা/বৈবাহিক সনদ এবং স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ড
- বিবাহিত হলে কাবিনা নামা/বৈবাহিক সনদ প্রয়োজন হতে পারে। হাতের কাছে থাকলে যুক্ত করে নিন।
০৫. GO অথবা NOC
- সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট করতে GO অথবা NOC প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টস গুলোর সাথে নাগরিকত্ব সনদ অথবা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সেই সাথে পেশাজীবী প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
০৬. পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি
- হারানো কিংবা চুরি হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট ইস্যু আবেদন করতে আবেদনের সাথে পাসপোর্ট হারানো GD copy দাখিল করতে হয়। আপনার পাসপোর্টে যে থানার অধীনে চুরি হয়েছে বা হারিয়ে গেছে সেই থানায় একটি সাধারন ডায়েরি লিখে তা সংরক্ষণ করুন।
০৭. নির্ধারিত ফিস
- ই পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পাসপোর্ট ফি পেমেন্ট করা। পেমেন্ট মাধ্যমিক হিসেবে অফলাইন বাছাই করলে ব্যাংকের মাধ্যমে ই পাসপোর্টটি পরিশোধ করতে হবে। ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা হয়ে গেলে ব্যাংক থেকে পেমেন্ট স্লিপ দেওয়া হবে। এটি আবেদনের ডকুমেন্টের সাথে যুক্ত করুন।
পাসপোর্টে অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যেসব কাগজপত্র দিতে হবে
- আবেদন সামারি
- আবেদনের পরে যে Application Summary নামে যে পৃষ্ঠাটি আসবে সেটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এতে আবেদনের সারাংশ, আবেদনকারীর নাম ঠিকানা, অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং ফিসের পরিমাণ উল্লেখ থাকে।
- পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি
- সামারির নিচে যুক্ত করতে হবে ৩ পৃষ্ঠার আবেদন কপি যেটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। সাদাকালো হলেও সমস্যা নেই।
আমাদের মাধ্যমে আবেদন করতে চাইলে হোয়াটস্যাপে যোগাযোগ করুন
- সামারির নিচে যুক্ত করতে হবে ৩ পৃষ্ঠার আবেদন কপি যেটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। সাদাকালো হলেও সমস্যা নেই।
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান রশিদ
- পাসপোর্টের ফিস প্রদানের পর যে চালান কপিটি পাবেন সেটি সঙ্গে নিতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র / জন্ম নিবন্ধন
- বয়স ১৮ এর বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা নিচে হলে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পাসপোর্টে যাওয়ার সময় অরিজিনাল কপিটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
- নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- আপনার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করে তা সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
- পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট
ই পাসপোর্ট করতে যে সব কাগজপত্র লাগে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা 23 Oct 2022 অনুযায়ী ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র (National ID Card) অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Certificate) প্রয়োজন।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বিশ বছরের নিচে যাদের এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি তারা আবেদনের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদন করে ২১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে NID Card Download করে সেটি যেকোন কাজে ব্যবহার করা যায়।
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য এক্সট্রা ডকুমেন্ট হিসেবে GO অথবা NOC পেপার দাখিল করতে হয়।
ই পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স এবং পেশার উপর ভিত্তি করে আবেদনের সাথে জমাকৃত কাগজপত্রের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিকের ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কিছু ডকুমেন্টের ভিন্নতা দেখা যায়।
তেমনিভাবে সাধারণ জনগণ এবং সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে কিছুটা ভিন্ন হয়।
শিশুদের ই-পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে
শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। তার সাথে শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আবেদনের সাথে অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় তা নিচে লিস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো-
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- Passport Application Summary
- Application Form
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
- 3R Size ছবি Lab Print, Gray Background
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদন করতে সাধারণ জনগণের থেকে একটি ডকুমেন্ট বেশি লাগে, তা হচ্ছে NOC (No Objection Certificate) বা GO (Government Order) পেপার। এছাড়া বাকি সকল কাগজপত্র একজন সাধারণ নাগরিকের যা প্রয়োজন তাই এখানে প্রযোজ্য।
NOC: সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী ব্যক্তিগত কাজে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করলে তার বিভাগ, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র সনদ (No Objection Certificate) সংগ্রহ করতে হয়।
GO: Go হলো Government Order বা সরকারি আদেশ। সরকারি / রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সরকারি আদেশ বা Government Order পাসপোর্ট করার সময় দাখিল করতে হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ কিংবা তার বেশি তাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয়।
- আইডি কার্ডের ফটো কপি
- ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি
- Application Form
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান / ব্যাংক ড্রাফ
- পেশা ছাত্র ছাত্রী হলে Student ID card
- নাগরিক সনদ
প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন
প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যারা ইমারজেন্সি পাসপোর্ট করতে চাচ্ছে অর্থাৎ চিকিৎসার কারণে কিংবা জরুরী কাজে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন তারা আগে থেকেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আবেদন করতে হয়।
পাসপোর্ট ফি কত | পাসপোর্ট ফি |
স্ট্যাটাস চেক করুন | Passport Status Check |
হারানো পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে কি লাগে?
হারানো পাসপোর্ট পুনরায় পেতে হলে রি ইস্যু আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়া নতুন পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়ার মতই। পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হয় তার সাথে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট হারানো জিডি সংযুক্ত করতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যায়?
যাদের বয়স ২০ বছরের কম অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি তারা চাইলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলকভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম কোনটি?
অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন সাবমিট করার সর্বশেষ ধাপে আবেদনের সামারি এবং অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করার অপশন দেয়া হয়। আপনি আবেদনের যা যা পূরণ করেছেন তা সেই ফরমে উল্লেখ থাকে।
..বিস্তারিত তথ্য..
ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র • পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে • ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে • নতুন পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে? • নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে • পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র • পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৫ • পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে 2025 • পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে • পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র • পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে • ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
Table of Contents
জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকলেই যেকোনো বাংলাদেশী নাগরিক ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এনআইডি (NID Card/ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়তপত্র) কার্ড আছে তারা এনআইডি ব্যবহার করে আর যাদের এনআইডি নেই তারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েই অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পাসপোর্টের আবেদনের সাথে কী কী কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে অনলাইনে আবেদন নির্ভুলভাবে করা সত্ত্বেও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। ই-পাসপোর্টের আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকলে আবেদন গ্রহণ করে না।
ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে কী কী লাগে?
০১. জাতীয় পরিচয়পত্র
- বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে ই পাসপোর্ট করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। যদি আপনার বয়স ১৮ হয়ে থাকে এবং এখনও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু না করে থাকেন তবে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর জন্য আবেদন করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পরে পাসপোর্টের আবেদনের কথা ভাবতে পারেন।
- তবে শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সীরা জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন।
০২. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
০৩. নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- আপনার নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করে তা সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
০৪. বিবাহিত হলে কাবিনা নামা/বৈবাহিক সনদ এবং স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ড
- বিবাহিত হলে কাবিনা নামা/বৈবাহিক সনদ প্রয়োজন হতে পারে। হাতের কাছে থাকলে যুক্ত করে নিন।
০৫. GO অথবা NOC
- সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট করতে GO অথবা NOC প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টস গুলোর সাথে নাগরিকত্ব সনদ অথবা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সেই সাথে পেশাজীবী প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
০৬. পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি
- হারানো কিংবা চুরি হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট ইস্যু আবেদন করতে আবেদনের সাথে পাসপোর্ট হারানো GD copy দাখিল করতে হয়। আপনার পাসপোর্টে যে থানার অধীনে চুরি হয়েছে বা হারিয়ে গেছে সেই থানায় একটি সাধারন ডায়েরি লিখে তা সংরক্ষণ করুন।
০৭. নির্ধারিত ফিস
- ই পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পাসপোর্ট ফি পেমেন্ট করা। পেমেন্ট মাধ্যমিক হিসেবে অফলাইন বাছাই করলে ব্যাংকের মাধ্যমে ই পাসপোর্টটি পরিশোধ করতে হবে। ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা হয়ে গেলে ব্যাংক থেকে পেমেন্ট স্লিপ দেওয়া হবে। এটি আবেদনের ডকুমেন্টের সাথে যুক্ত করুন।
পাসপোর্টে অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যেসব কাগজপত্র দিতে হবে
- আবেদন সামারি
- আবেদনের পরে যে Application Summary নামে যে পৃষ্ঠাটি আসবে সেটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এতে আবেদনের সারাংশ, আবেদনকারীর নাম ঠিকানা, অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং ফিসের পরিমাণ উল্লেখ থাকে।
- পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি
- সামারির নিচে যুক্ত করতে হবে ৩ পৃষ্ঠার আবেদন কপি যেটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। সাদাকালো হলেও সমস্যা নেই।
আমাদের মাধ্যমে আবেদন করতে চাইলে হোয়াটস্যাপে যোগাযোগ করুন
- সামারির নিচে যুক্ত করতে হবে ৩ পৃষ্ঠার আবেদন কপি যেটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। সাদাকালো হলেও সমস্যা নেই।
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান রশিদ
- পাসপোর্টের ফিস প্রদানের পর যে চালান কপিটি পাবেন সেটি সঙ্গে নিতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র / জন্ম নিবন্ধন
- বয়স ১৮ এর বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা নিচে হলে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পাসপোর্টে যাওয়ার সময় অরিজিনাল কপিটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
- নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- আপনার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করে তা সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
- পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট
ই পাসপোর্ট করতে যে সব কাগজপত্র লাগে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা 23 Oct 2022 অনুযায়ী ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র (National ID Card) অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Certificate) প্রয়োজন।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বিশ বছরের নিচে যাদের এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি তারা আবেদনের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদন করে ২১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে NID Card Download করে সেটি যেকোন কাজে ব্যবহার করা যায়।
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য এক্সট্রা ডকুমেন্ট হিসেবে GO অথবা NOC পেপার দাখিল করতে হয়।
ই পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স এবং পেশার উপর ভিত্তি করে আবেদনের সাথে জমাকৃত কাগজপত্রের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিকের ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কিছু ডকুমেন্টের ভিন্নতা দেখা যায়।
তেমনিভাবে সাধারণ জনগণ এবং সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে কিছুটা ভিন্ন হয়।
শিশুদের ই-পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে
শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। তার সাথে শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আবেদনের সাথে অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় তা নিচে লিস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো-
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- Passport Application Summary
- Application Form
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
- 3R Size ছবি Lab Print, Gray Background
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদন করতে সাধারণ জনগণের থেকে একটি ডকুমেন্ট বেশি লাগে, তা হচ্ছে NOC (No Objection Certificate) বা GO (Government Order) পেপার। এছাড়া বাকি সকল কাগজপত্র একজন সাধারণ নাগরিকের যা প্রয়োজন তাই এখানে প্রযোজ্য।
NOC: সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী ব্যক্তিগত কাজে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করলে তার বিভাগ, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র সনদ (No Objection Certificate) সংগ্রহ করতে হয়।
GO: Go হলো Government Order বা সরকারি আদেশ। সরকারি / রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সরকারি আদেশ বা Government Order পাসপোর্ট করার সময় দাখিল করতে হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ কিংবা তার বেশি তাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয়।
- আইডি কার্ডের ফটো কপি
- ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি
- Application Form
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান / ব্যাংক ড্রাফ
- পেশা ছাত্র ছাত্রী হলে Student ID card
- নাগরিক সনদ
প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন
প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যারা ইমারজেন্সি পাসপোর্ট করতে চাচ্ছে অর্থাৎ চিকিৎসার কারণে কিংবা জরুরী কাজে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন তারা আগে থেকেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আবেদন করতে হয়।
পাসপোর্ট ফি কত | পাসপোর্ট ফি |
স্ট্যাটাস চেক করুন | Passport Status Check |
হারানো পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে কি লাগে?
হারানো পাসপোর্ট পুনরায় পেতে হলে রি ইস্যু আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়া নতুন পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়ার মতই। পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হয় তার সাথে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট হারানো জিডি সংযুক্ত করতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যায়?
যাদের বয়স ২০ বছরের কম অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি তারা চাইলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলকভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম কোনটি?
অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন সাবমিট করার সর্বশেষ ধাপে আবেদনের সামারি এবং অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করার অপশন দেয়া হয়। আপনি আবেদনের যা যা পূরণ করেছেন তা সেই ফরমে উল্লেখ থাকে।