ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকলে অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা দিয়ে তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করে খুব সহজে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য পরিবর্তন করা যায়। আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার জন্য কিছু প্রমাণাদি বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন। ভোটার আইডি কার্ডের কোন তথ্য সংশোধন করতে কোন সনদ লাগে এটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চলেছি।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা জানার আগে চলুন জেনে নিই এনআইডি কি ? বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নথিভুক্ত সকল বাংলাদেশী নাগরিকের ( ১৮+) জাতীয়তার পরিচয়ে যে সনদটি প্রদান করা হয়ে থাকে সেটি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি (NID) নামে পরিচিত।

আমরা জানতে চলেছি কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করবেন এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন যা যা লাগে

আমরা যারা এনআইডি কার্ড হোল্ডার আছি আমাদের অনেকের আইডি কার্ডটিই সম্পূর্ণ রুপে নির্ভুল থাকে না। হতে পারে নিজের গাফিলতি কিংবা সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী- কর্মকর্তার অবহেলা তে এই সমস্ত ভুল হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, ভুল হতেই পারে।

ভুল সংশোধন করার জন্যও বাংলাদেশ সরকার সংশোধনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এই ভুল সংশোধনের জন্য বেশ কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে যেগুলো আপনার সত্যতা প্রমানে কার্যকর। তো চলুন জেনে নিই কি কি কাগজপত্র লাগে এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোজ্ঞতার সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিলের কপি, জমির খারিজ/পর্চার কপি লাগে।

নাম সংশোধনের জন্য বোর্ড পরীক্ষার সনদ, পিতা/মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর কপি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ লাগে। ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে ইউটিলিটি বিলের কাগজ ও বসবাসের তথ্য প্রয়োজন। এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন আনুমোদন পেলে অনলাইন থেকে NID Card Download করে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয় সাধারণ নাগরিক চারটি (০৪) ক্যাটাগরি তে তাদের নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। ক্যাটাগরি চারটি হচ্ছেঃ

  • রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  • নাম সংশোধন (নিজের কিংবা পিতা মাতার)
  • ঠিকানা সংশোধন
  • জন্ম তারিখ সংশোধন

রক্তের গ্রুপ সংশোধন

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ভোটার আইডি কার্ড এর রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে কি কি লাগে ? উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড কোন ক্লিনিক কিংবা হাসপাতাল থেকে রক্তের গ্রুপ এর নির্ভুল রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট এর স্কান কপি জমা দিলেই সংশোধন হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়াটি সবথেকে সহজ হলেও অন্যান্য ধাপগুলি সংশোধনে অনেক ধরনের কাগজের প্রয়োজন হতে পারে।

নিজের নাম সংশোধন

এটি একটি সাধারণ জিজ্ঞাসা যে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড এর নাম সংশোধন করা যায়। বলে রাখা ভাল যে নাম সংশোধন এর তিনটি (০৩) ধাপ বা ক্যাটাগরি রয়েছে। নিজের নাম (আংশিক), পিতা/মাতার নাম (আংশিক) এবং নিজের কিংবা পিতা / মাতার নাম (সম্পূর্ণ)। ধাপ বাই ধাপ আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে খেয়াল করুন।

নিজের নাম সংশোধন (আংশিক)

ভোটার আইডি কার্ড এর আংশিক নাম সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন), বোর্ড পরীক্ষার সনদ ( JSC, SSC, HSC), বিশেষ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং কাবিননামা ইত্যাদি কাগজপত্র লাগে। তবে অবশ্যই এই সকল ডকুমেন্ট এর স্কান কপি লাগবে। এই সেবা টি “ক” ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত যেটি আপনি সাধারণ উপজেলা পর্যায়ে নিষ্পন্ন করতে পারবেন।

নিজের নাম সংশোধন (সম্পূর্ণ)

আমাদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ড এর নাম এর সাথে সার্টিফিকেট কিংবা জন্ম সনদের নামের মিল থাকে না। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিশেষ করে জমিজমা রেজিস্ট্রেশনে এবং পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু করনে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এটি “গ” (যদি প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেয়া হয়) এবং “ঘ” (প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে অক্ষম হলে) ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ হলঃ

  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অনলাইন জন্ম সনদ (১৭ সংখ্যার)
  • সন্তানের ভোটার আইডি কার্ড
  • সন্তানের সার্টিফিকেট
  • এমপিও/সার্ভিস বইয়ের কপি এবং
  • উপজেলা নির্বাচন অফিসার এর প্রতিবেদন কপি ইত্যাদি।

পিতা/মাতার নাম সংশোধন

আমাদের অনেকের এনআইডি কার্ড এ পিতা/মাতার নামের সাধারনত দুই ধরনের ভুল হয়ে থাকে। তবে এই ভুল সংশোধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে। ভুলগুলো হচ্ছেঃ

  • পিতা মাতার নামের বানান ভুল
  • সম্পূর্ণ নামটিই ভুল

এই দুই ধরনের ভুল সংশোধনের জন্য সাধারনত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র, জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজন হয় বাধ্যতামূলক হিসাবে। তবে এছাড়াও যে কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো হচ্ছেঃ

  • পাসপোর্ট
  • পিতা/মাতার এনআইডি কার্ড
  • ভাই এবং বোনের এনআইডি
  • ভাই- বোন এর সার্টিফিকেট এবং
  • কাবিন নামা ইত্যাদি।

জন্ম তারিখ সংশোধন

এটি একটি সাধারণ ভুল। অনেকের জন্ম নিবন্ধন এর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখের মিল খুজে পাওয়া যায় না। এছাড়াও সার্টিফিকেট এর সাথেও এনআইডি কার্ড এর জন্ম তারিখের অমিল লক্ষ করা যায়। এই ঝামেলা এড়াতে আজই আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করে ফেলুন। যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবে তা হলঃ

  • সার্টিফিকেট এর স্কান কপি
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • ভাইবোন এর এনআইডি( যদি থাকে)
  • অনলাইন জন্ম সনদ (১৭ সংখ্যা বিশিষ্ট)
  • পারিবারিক সনদ পত্রের সত্যায়িত কপি
  • বয়স প্রমানের রিপোর্ট
  • সার্ভিস বই কিংবা MPO sheet এর কপি, চাকরি করলে চাকরির আইডি কার্ড এর কপি

এক্ষেত্রে আবেদন এর প্রার্থীর বয়স ১দিন – ৩ বছরের মধ্যে হলে “ক” ক্যাটাগরিতে, ৩ – ৫ বছর হলে “খ” ক্যাটাগরিতে পরবে। একই ভাবে ৫ থেকে ১০ বছর বয়সের প্রার্থীরা “গ” ক্যাটাগরির আন্ডারে আবেদন করবেন এবং ১০ বছরের উদ্ধে সকল বাংলাদেশী নাগরিক “ঘ” ক্যাটাগরির আওতায় পড়বে।

ঠিকানা সংশোধন

ঠিকানা সাধারনত পিছনের অংশে থাকে, তাই আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে পরিবর্তন কিংবা সংশোধন করতে আগ্রহী প্রকাশ করি না। তবে জেনে রাখা ভাল এটি জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

উদাহরণস্বরূপ যদি বলি, আপনাদের অনেকেরই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফোন থেকে এনআইডি কার্ড এর সামনের ও পিছনের পার্টের ছবি জমা দিতে বলা হয়। তখন যদি আপনার দেওয়া সার্টিফিকেট কিংবা অন্য ডকুমেন্ট এর তথ্যের সাথে মিল না থাকে তাহলে আপনার ভেরিফিকেশন ফেইল আসতে পারে। যার কারনে আপনি উক্ত প্রোগ্রামটি এক্সেস করতে পারবেন না। তাই আমাদের সকলের জানা উচিত কিভাবে ঠিকানা সংশোধন করা যায় এবং ঠিকানা সংশোধন করতে কি কি কাগজ পত্র লাগে।

  • বাসার ইউটিলিটি বিলের কপি ( গ্যাস/ বিদ্যুৎ/ পানি)
  • বাসার ট্যাক্স রশিদ কিংবা গ্রামের ক্ষেত্রে জমির খাজনা আদায়ের দাখিলা
  • প্রত্যয়ন পত্র।
  • ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদ এর কপি ইত্যাদি।

এনাইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন

বর্তমানে এই সেবা টি অনলাইনে চালু নেই। তবে আমার ছবিটি যদি একেবারেই অস্পষ্ট হয়ে থাকে এবং যা আপনার পরিচয় নির্ধারণে বাধার সৃষ্টি করে তাহলে আপনি আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং ছবি পরিবর্তন করার কারণের যথার্থতা যাচাই করবে।

আপনার বর্ণনা করা কারণ ছবি পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হলে এনাইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিবে।

FAQS

ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন ?

ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন এর জন্য পিতা/মাতার এনআইডি কার্ড, ভাই এবং বোনের এনআইডি, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজ লাগবে।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে ?

ভোটার আইডি কার্ড এর আংশিক নাম সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন), বোর্ড পরীক্ষার সনদ ( JSC, SSC, HSC), বিশেষ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং কাবিননামা ইত্যাদি কাগজপত্র লাগে। তবে অবশ্যই এই সকল ডকুমেন্ট এর স্কান কপি লাগবে। এই সেবা টি “ক” ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত যেটি আপনি সাধারণ উপজেলা পর্যায়ে নিষ্পন্ন করতে পারবেন।

..বিস্তারিত তথ্য..

ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকলে অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা দিয়ে তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করে খুব সহজে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য পরিবর্তন করা যায়। আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার জন্য কিছু প্রমাণাদি বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন। ভোটার আইডি কার্ডের কোন তথ্য সংশোধন করতে কোন সনদ লাগে এটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চলেছি।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা জানার আগে চলুন জেনে নিই এনআইডি কি ? বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নথিভুক্ত সকল বাংলাদেশী নাগরিকের ( ১৮+) জাতীয়তার পরিচয়ে যে সনদটি প্রদান করা হয়ে থাকে সেটি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি (NID) নামে পরিচিত।

আমরা জানতে চলেছি কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করবেন এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন যা যা লাগে

আমরা যারা এনআইডি কার্ড হোল্ডার আছি আমাদের অনেকের আইডি কার্ডটিই সম্পূর্ণ রুপে নির্ভুল থাকে না। হতে পারে নিজের গাফিলতি কিংবা সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী- কর্মকর্তার অবহেলা তে এই সমস্ত ভুল হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, ভুল হতেই পারে।

ভুল সংশোধন করার জন্যও বাংলাদেশ সরকার সংশোধনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এই ভুল সংশোধনের জন্য বেশ কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে যেগুলো আপনার সত্যতা প্রমানে কার্যকর। তো চলুন জেনে নিই কি কি কাগজপত্র লাগে এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোজ্ঞতার সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিলের কপি, জমির খারিজ/পর্চার কপি লাগে।

নাম সংশোধনের জন্য বোর্ড পরীক্ষার সনদ, পিতা/মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর কপি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ লাগে। ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে ইউটিলিটি বিলের কাগজ ও বসবাসের তথ্য প্রয়োজন। এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন আনুমোদন পেলে অনলাইন থেকে NID Card Download করে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয় সাধারণ নাগরিক চারটি (০৪) ক্যাটাগরি তে তাদের নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। ক্যাটাগরি চারটি হচ্ছেঃ

  • রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  • নাম সংশোধন (নিজের কিংবা পিতা মাতার)
  • ঠিকানা সংশোধন
  • জন্ম তারিখ সংশোধন

রক্তের গ্রুপ সংশোধন

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ভোটার আইডি কার্ড এর রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে কি কি লাগে ? উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড কোন ক্লিনিক কিংবা হাসপাতাল থেকে রক্তের গ্রুপ এর নির্ভুল রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট এর স্কান কপি জমা দিলেই সংশোধন হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়াটি সবথেকে সহজ হলেও অন্যান্য ধাপগুলি সংশোধনে অনেক ধরনের কাগজের প্রয়োজন হতে পারে।

নিজের নাম সংশোধন

এটি একটি সাধারণ জিজ্ঞাসা যে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড এর নাম সংশোধন করা যায়। বলে রাখা ভাল যে নাম সংশোধন এর তিনটি (০৩) ধাপ বা ক্যাটাগরি রয়েছে। নিজের নাম (আংশিক), পিতা/মাতার নাম (আংশিক) এবং নিজের কিংবা পিতা / মাতার নাম (সম্পূর্ণ)। ধাপ বাই ধাপ আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে খেয়াল করুন।

নিজের নাম সংশোধন (আংশিক)

ভোটার আইডি কার্ড এর আংশিক নাম সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন), বোর্ড পরীক্ষার সনদ ( JSC, SSC, HSC), বিশেষ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং কাবিননামা ইত্যাদি কাগজপত্র লাগে। তবে অবশ্যই এই সকল ডকুমেন্ট এর স্কান কপি লাগবে। এই সেবা টি “ক” ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত যেটি আপনি সাধারণ উপজেলা পর্যায়ে নিষ্পন্ন করতে পারবেন।

নিজের নাম সংশোধন (সম্পূর্ণ)

আমাদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ড এর নাম এর সাথে সার্টিফিকেট কিংবা জন্ম সনদের নামের মিল থাকে না। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিশেষ করে জমিজমা রেজিস্ট্রেশনে এবং পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু করনে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এটি “গ” (যদি প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেয়া হয়) এবং “ঘ” (প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে অক্ষম হলে) ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ হলঃ

  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অনলাইন জন্ম সনদ (১৭ সংখ্যার)
  • সন্তানের ভোটার আইডি কার্ড
  • সন্তানের সার্টিফিকেট
  • এমপিও/সার্ভিস বইয়ের কপি এবং
  • উপজেলা নির্বাচন অফিসার এর প্রতিবেদন কপি ইত্যাদি।

পিতা/মাতার নাম সংশোধন

আমাদের অনেকের এনআইডি কার্ড এ পিতা/মাতার নামের সাধারনত দুই ধরনের ভুল হয়ে থাকে। তবে এই ভুল সংশোধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে। ভুলগুলো হচ্ছেঃ

  • পিতা মাতার নামের বানান ভুল
  • সম্পূর্ণ নামটিই ভুল

এই দুই ধরনের ভুল সংশোধনের জন্য সাধারনত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র, জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজন হয় বাধ্যতামূলক হিসাবে। তবে এছাড়াও যে কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো হচ্ছেঃ

  • পাসপোর্ট
  • পিতা/মাতার এনআইডি কার্ড
  • ভাই এবং বোনের এনআইডি
  • ভাই- বোন এর সার্টিফিকেট এবং
  • কাবিন নামা ইত্যাদি।

জন্ম তারিখ সংশোধন

এটি একটি সাধারণ ভুল। অনেকের জন্ম নিবন্ধন এর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখের মিল খুজে পাওয়া যায় না। এছাড়াও সার্টিফিকেট এর সাথেও এনআইডি কার্ড এর জন্ম তারিখের অমিল লক্ষ করা যায়। এই ঝামেলা এড়াতে আজই আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করে ফেলুন। যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবে তা হলঃ

  • সার্টিফিকেট এর স্কান কপি
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • ভাইবোন এর এনআইডি( যদি থাকে)
  • অনলাইন জন্ম সনদ (১৭ সংখ্যা বিশিষ্ট)
  • পারিবারিক সনদ পত্রের সত্যায়িত কপি
  • বয়স প্রমানের রিপোর্ট
  • সার্ভিস বই কিংবা MPO sheet এর কপি, চাকরি করলে চাকরির আইডি কার্ড এর কপি

এক্ষেত্রে আবেদন এর প্রার্থীর বয়স ১দিন – ৩ বছরের মধ্যে হলে “ক” ক্যাটাগরিতে, ৩ – ৫ বছর হলে “খ” ক্যাটাগরিতে পরবে। একই ভাবে ৫ থেকে ১০ বছর বয়সের প্রার্থীরা “গ” ক্যাটাগরির আন্ডারে আবেদন করবেন এবং ১০ বছরের উদ্ধে সকল বাংলাদেশী নাগরিক “ঘ” ক্যাটাগরির আওতায় পড়বে।

ঠিকানা সংশোধন

ঠিকানা সাধারনত পিছনের অংশে থাকে, তাই আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে পরিবর্তন কিংবা সংশোধন করতে আগ্রহী প্রকাশ করি না। তবে জেনে রাখা ভাল এটি জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

উদাহরণস্বরূপ যদি বলি, আপনাদের অনেকেরই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফোন থেকে এনআইডি কার্ড এর সামনের ও পিছনের পার্টের ছবি জমা দিতে বলা হয়। তখন যদি আপনার দেওয়া সার্টিফিকেট কিংবা অন্য ডকুমেন্ট এর তথ্যের সাথে মিল না থাকে তাহলে আপনার ভেরিফিকেশন ফেইল আসতে পারে। যার কারনে আপনি উক্ত প্রোগ্রামটি এক্সেস করতে পারবেন না। তাই আমাদের সকলের জানা উচিত কিভাবে ঠিকানা সংশোধন করা যায় এবং ঠিকানা সংশোধন করতে কি কি কাগজ পত্র লাগে।

  • বাসার ইউটিলিটি বিলের কপি ( গ্যাস/ বিদ্যুৎ/ পানি)
  • বাসার ট্যাক্স রশিদ কিংবা গ্রামের ক্ষেত্রে জমির খাজনা আদায়ের দাখিলা
  • প্রত্যয়ন পত্র।
  • ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদ এর কপি ইত্যাদি।

এনাইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন

বর্তমানে এই সেবা টি অনলাইনে চালু নেই। তবে আমার ছবিটি যদি একেবারেই অস্পষ্ট হয়ে থাকে এবং যা আপনার পরিচয় নির্ধারণে বাধার সৃষ্টি করে তাহলে আপনি আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং ছবি পরিবর্তন করার কারণের যথার্থতা যাচাই করবে।

আপনার বর্ণনা করা কারণ ছবি পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হলে এনাইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিবে।

FAQS

ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন ?

ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন এর জন্য পিতা/মাতার এনআইডি কার্ড, ভাই এবং বোনের এনআইডি, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজ লাগবে।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে ?

ভোটার আইডি কার্ড এর আংশিক নাম সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন), বোর্ড পরীক্ষার সনদ ( JSC, SSC, HSC), বিশেষ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং কাবিননামা ইত্যাদি কাগজপত্র লাগে। তবে অবশ্যই এই সকল ডকুমেন্ট এর স্কান কপি লাগবে। এই সেবা টি “ক” ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত যেটি আপনি সাধারণ উপজেলা পর্যায়ে নিষ্পন্ন করতে পারবেন।